ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, হজের ভাড়া যাই হোক না কেন, যার হজ করার সক্ষমতা আছে সেই হজ করতে যাবে। আল্লাহ তায়ালা বলেই দিয়েছেন, যত টাকা আছে সেই টাকা দিয়ে হজে করে আসা পর্যন্ত যদি তোমার বাড়িতে খোরাক থাকে, তাহলেই তুমি হজে যাও। যার যাওয়ার মতো যোগ্যতা হবে, ক্ষমতা হবে সেই যাবে, হজ তো সবার জন্য ফরজ না।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী জেলা প্রশাসন এ আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করেন।
ফরিদুল হক খান এমপি বলেন, এবার পূর্ণাঙ্গ হজ হবে। প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার মুসল্লি এবার হজ করতে যাবেন। বিমান ভাড়া এবং সৌদী সরকারের আবাসন সুবিধা বৃদ্ধির কারণে হজের টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হজ করার পর যদি দেখা যায় টাকা কম খরচ হয়েছে, তবে হাজিদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। প্রত্যেক মুসল্লি যাতে সুন্দরভাবে হজের ফরজ পালন করতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বৃতি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’ আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছিল, সকল ধর্মের মানুষ সমঅধিকার পাবে। সেটা আমরা অনেকটাই বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আমরা মডেল মসজিদ, গির্জা, মন্দিরসহ ধর্মীয় অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছি। সকল ধর্মই আমাদের কাছে সমান।
তিনি আরও বলেন, ফিৎনা-ফাসাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আমরা সবাই উদার হতে পারছি না। প্রত্যেক ধর্মেই বলা আছে আপনার প্রতিবেশী খেতে পাচ্ছে কিনা সেটার খোঁজ নেওয়া, যাতে সম্প্রীতি তৈরি হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাম্প্রদায়িক শান্তির কথা বলে গেছেন। আমাদের রাষ্ট্রীয় চারটি নীতির একটি নীতিও সে কথাই বলে। প্রধানমন্ত্রী সেই নীতিতে কঠোর অবস্থানে আছেন বলেও জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে সংলাপে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, পবা-মোহনপুর আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দীন, বিশেষ পুলিশ সুপার (নগর বিশেষ শাখা) মুহাম্মদ আব্দুর রকিব, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।