রফতানির আড়ালে জাল নথি তৈরি করে চার প্রতিষ্ঠানের ৩৮০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ১৭৮০টি চালানের বিপরীতে এসব টাকা পাচার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এসব তথ্য দেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ফখরুল আলম।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘৩৮০ কোটির মতো টাকা পাচার হয়েছে। যদিও আমি ৩৮০ কোটি টাকার ফিগার বললাম এটা প্রত্যেক আমদানিকারক তার বিলাভড এক্সপোর্টে যে মূল্য ঘোষণা করেছেন সেই মূল্যের ভিত্তিতে। এখানেও অনুসন্ধানের বিষয় আছে। কারণ তখন যদি কোনো জালিয়াত চক্র বিদেশে অর্থপাচারের উদ্দেশ্যে এই ধরনের অপকর্ম করেন বা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে রফতানির চেষ্টা করেন, সেখানে যদি তাদের মূল উদ্দেশ্যেই থাকে রফতানি মূল্য তারা দেশে আনবেন না বিদেশে পাচার করবেন সেক্ষেত্রে তাদের পণ্যমূল্য কম দেখানোর প্রচেষ্টা থাকবে। কারণ তার তো লক্ষ্য টাকাটা বাইরে পাচার করা। তারা বাইরে পণ্য রফতানি করলেও আলটিমেটলি টাকাটা আর দেশে আসবে না। সুতরাং পাচার যখন তার প্রধান লক্ষ্য তখন কিন্তু তারা একটি কাজ করবে সেটা হলো পণ্যের মূল্য তারা যথাযথভাবে দেখাবে না।
ফখরুল আলম বলেন, এশিয়া ট্রেডিং করপোরেশন ১২৩ কাকরাইল রমনা, ঢাকা এই ঠিকানার একটি প্রতিষ্ঠান ১৩৮২টি রফতানি পণ্যের চালান বিদেশে রফতানি করেছে। সেখানে পণ্য ছিল টি-শার্ট, টপস, লেডিস পণ্য এই জাতীয়। স্বাভাবিকভাবে বললে এগুলো রেডিমেড গার্মেন্টস। পণ্যের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৮৫ মেট্রিকটন। এর পরিমাণ ২৮২ কোটি টাকা। পণ্যগুলো আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার, যুক্তরাজ্য রফতানি হয়েছে।
দক্ষিণক্ষাণের জব্বার মার্কেটের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ইমো ট্রেডিং কোম্পানি ২৭৩টি চালান বিদেশে রফতানি করেছে। পণ্যের ন্যাচার একই। পরিমাণ ২৫২৩ মেট্রিকটন। টাকা পাচারের পরিমাণ ৬২ কোটি টাকা।