শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ২৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি প্রাইভেটকার হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। রোববার ভোরে উপজেলার কদমতলী বাজার এলাকা থেকে এসব মাদক উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরে ঝিনাইগাতী বাজার থেকে শেরপুরগামী একটি প্রাইভেটকারকে সন্দেহ হয় পুলিশ সদস্যদের। এ সময় বাজারে এসআই মাসুদ রানা ও এএসআই আতিক প্রাইভেটকারকে সিগন্যাল দিলে দ্রুতগতিতে শেরপুরের দিকে যেতে থাকে গাড়িটি। পরে পুলিশ সদস্যরা প্রাইভেটকারটিকে আটক করতে ধাওয়া করলে তিনানী বাজার হয়ে কদমতলী বাজারে গিয়ে পাশের একটি সড়কে প্রাইভেটকারটি রেখে চালকসহ আরোহীরা পালিয়ে যায়। এ সময় প্রাইভেটকারের পেছনের অংশে ১২টি প্যাকেট থেকে ২৯৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
ঝিনাইগাতী উপজেলা ভারতের সীমান্ত ঘেষা প্রায় ৪০ কি.মি পাহাড়ি দূর্গম এলাকা। এই সমস্ত দূর্গম পাহাড়ী এলাকা দিয়ে মাদক কারবারীরা বিভিন্ন জাতের মাদক আমদানী করে। স্থানীয় ভাবে অভিনব কৌশলে বিভিন্ন স্থানে ওইসব মাদক বিক্রি করে। এছাড়াও ভারত থেকে আমদানীকৃত মাদক অভিনব কৌশলে দেশের অভ্যান্তরে পাচার করে। মাদক ব্যবসা অত্যান্ত লাভ জনক হওয়ায় পুলিশের হাতে ধরা পরার পরেও জামিনে এসে আবারো মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরে। অবাধে মাদকের কারনে স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রী ও যুব সমাজ মাদকের ছুবলে ধ্বংসের মুখে।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।