রাজশাহীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে আসামির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা সোয়া লাখ টাকা পুলিশ গায়েব করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আসামির স্বজনদের দাবি, বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু জব্দ তালিকায় পুলিশ টাকা উদ্ধার দেখিয়েছে মাত্র ১৩ হাজার ৪০ টাকা। বাকি ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৬০ টাকা অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের সদস্যরা ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন বলেও দাবি করেন তারা। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি দল ৯ মার্চ দুপুরে নগরীর বহরমপুর এলাকার মাদকসেবী মো. সেন্টুর বাড়িতে মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে পুলিশ মাদকসেবী সেন্টুর সঙ্গে তার স্ত্রী মিতা পারভীনকেও গ্রেফতার করে। তার বাড়ি থেকে ৩০ গ্রাম হেরোইন ও ১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে পুলিশ রাজপাড়া থানায় মামলাও করেছে। এরপর বিকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মিতা ও সেন্টুর স্বজনদের দাবি, মিতা বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ির কাজ করছিলেন। বাড়িতে তার ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা রাখা ছিল। পুলিশ মাদক ও আসামির টাকাও জব্দ করেছিল। কিন্তু মামলার জব্দ তালিকায় মাত্র ১৩ হাজার ৪০ টাকা উদ্ধার দেখানো হয়েছে। বাকি টাকা অভিযানে অংশ নেওয়া এসআই আব্দুল জলিল এবং এএসআই মজনু মিয়া আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি করেন স্বজনরা। এ বিষয়ে মোবাইলে সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এএসআই মজনু মিয়া। তিনি কথা বলার জন্য থানায় ডাকেন। এসআই আব্দুল জলিল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাক্ষীদের সামনে জব্দ তালিকা করা হয়েছে। সাক্ষীরা সবই দেখেছেন। এসব অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই। থানা সূত্রে জানা যায়, ঐ মামলায় তুষার ও কালাম নামের দুই নির্মাণশ্রমিককে সাক্ষী করা হয়েছে। অভিযানের সময় তারা সেন্টুর বাড়িতেই কাজ করছিলেন। যোগাযোগ করা হলে তুষার বলেন, ঘর থেকে পুলিশ বেরিয়ে বলেছে হেরোইন ও ইয়াবা পাওয়া গেছে। তারপর কাগজে সই নিয়ে তাদের সাক্ষী করার কথা বলা হয়েছে। তবে হেরোইন ও ইয়াবা তিনি দেখেননি। কত টাকা উদ্ধার হয়েছে পুলিশ তাদের জানায়নি এমনকি দেখায়ওনি। এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সেন্টু মাদক ব্যবসা করেন। তার বাড়ি থেকে হেরোইন ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা জব্দ তালিকায় দেখানো হয়েছে। আসামির স্বজনরা এখন ১ লাখ ৩০ হাজার কেন, ৫ কোটি টাকা বলতে পারেন।