লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে মেঘনা নদী থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে জাটকা ইলিশ ধরছেন জেলেরা। বিক্রি হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। এদিকে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় আগামী ২ মাস সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
রোববার (১২ মার্চ) রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই টন জাটকা উদ্ধার করেছে স্থানীয় কোস্টগার্ড। পরে সেগুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা মাছ শিকার করছেন। এসব মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে হাট-বাজার ও আড়তে। সংরক্ষণ করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ, সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
চরবংশী এলাকার জেলেরা বলেন, আড়ত থেকে দাদনে নেয়া টাকা পরিশোধ করতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে বেশি মাছ পাওয়ার আশায় মেঘনা নদীর বিভিন্ন জায়গা জাল ফেলছি। তবে এ বছর জাটকা শিকারের মাত্রা অনেক বেশি। রাতের আঁধারে নদীতে প্রতিদিন আমার মতো অনেকেই জাটকা ধরছে। এসব মাছ আড়ত থেকে রাতে ট্রলার, পিকআপ, বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনে ঢাকার মোকামে যাচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমকে নিরাপদ করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তারপরও কিছু অসাধু জেলেরা জাটকা শিকারের চেষ্টা করছেন। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
কর্মসূচির আওতায় ২০০৬ সাল থেকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদীতে ২ মাস জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ জন্য মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় প্রশাসন ১ মার্চ থেকে মেঘনায় সব ধরনের জাল ফেলা বন্ধ করে দেয়।