বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে অবদান রাখবে। পার্বতীপুরে পাইপলাইন প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, “দেশের উত্তরাঞ্চলে দ্রুত, নিরবচ্ছিন্নভাবে এবং সাশ্রয়ীভাবে জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক হবে।” নসরুল হামিদ বলেন, উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ করা যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার সফলভাবে নিশ্চিত করছে। তিনি বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত এবং সাশ্রয়ী জ্বালানি সরবরাহের জন্য ২০১৮ সালে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, ৩০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২৬.৫৭ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালের জুনে শেষ করার জন্য নির্ধারিত ছিল। ভারতের নুমালিগড় থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর ডিপো পর্যন্ত দীর্ঘ পাইপলাইনটি প্রতিদিন উত্তরাঞ্চলে অতিরিক্ত ২৯,০০০ মেট্রিক টন জ্বালানি সরবরাহ করবে। নতুন স্থাপিত পাইপলাইনের কারণে সহজেই উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলাসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্বল্প খরচে এবং দ্রুত জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। জ্বালানি বিভাগের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান, বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।