র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারীসহ অপহরন হওয়া ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরনকারীকে গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে আসছে। গত ০৭ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক বিকাল ১৬:০৫ ঘটিকায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন শুভাঢ্যা এলাকায় ভাড়া করা বাসায় বসবাসকারী শান্তা আক্তার (১৯), স্বামী- রমজান আরী, পিতা- মোঃ রাজ্জাক, থানা- খালশপুর, জেলা- খুলনা নামক এক মহিলা তার শিশু সন্তান মোঃ হোসেন (০৩ মাস)’কে তার বাসার খাটের উপর রেখে রান্নার কাজ করতে থাকে। হঠাৎ সে তার সন্তানের কোন সারা শব্দ না পেয়ে দ্রুত ঐ কক্ষে গিয়ে দেখতে পায় উক্ত খাটের উপরে তার সন্তান নেই। অতঃপর সে সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করে কোথাও তার সন্তানকে না পেলে ভিকটিমের মা শান্তা ও ভিকটিমের নানা মোঃ রাজ্জাক (৩৭) পরের দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। যার জিডি নং- ৪৮৩, তারিখ- ০৮/০৩/২০২৩ খ্রিঃ। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা শান্তা র্যাব-১০ এর নিকট তার সন্তানকে দ্রুত উদ্ধারের জন্য একটি সাহায্যের আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল অপহৃত ভিকটিম’কে দ্রুত উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতারের লক্ষে ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই অংশ হিসেবে উক্ত আভিযানিক দল ঘটনাস্থলের আশপাশে পর্যবেক্ষণ করে বিভিন্ন সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করত যাচাই-বাছাই করে অপহরণকারীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৯ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের বিভিত্তে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন পূর্ব ভবনাথপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিম শিশু উদ্ধার পূর্বক অপহরণকারী পারভীন আক্তার (৩৭), স্বামী- সাইফুল হাওলাদার, সাং- শুভাঢ্যা, থানা- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, জেলা- ঢাকা। স্বামীর ঠিকানা- থানা- দুমকি, জেলা- পটুয়াখালী’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, প্রেফতারকৃত মহিলার নির্দিষ্ট কোন পেশা না থাকায় সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় ১/২ মাসের জন্য বাসা ভাড়া করে উক্ত এলাকার যাদের ঘরে ছোট শিশু বাচ্চা থাকতো তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতো। পরবর্তীতে সে তার সুবিধামতো সময় সুযোগ বুঝে বাচ্চা নিয়ে পালিয়ে যেত। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং বাসা বাড়ী থেকে শিশু বাচ্চা চুরি করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার নিঃসন্তানদের নিকট মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে করত। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।