ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে মরমী কবি পাগলা কানাই এর ৭ দিন ব্যাপী ২১৩তম জন্মজয়ন্তী উৎসব। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বেড়বাড়ী গ্রামে কবির মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে ৭ দিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেলা ১১টায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেনজেলা পরিষদ সচিব সেলিম রেজা পিএএ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) রাজীবুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি)আরিফুল ইসলাম, পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ এর সাধারন সম্পাদক ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রশীদ (এ্যাডঃ ),সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন, নির্বাহী ম্যাজিট্টেট পার্থ পতিম শিল, নির্বাহী ম্যাজিট্টেটগন,সাংবাদিক ময়না খাতুন সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।দোয়া অনুষ্ঠান শেষে লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়।অতিথিরা লাঠিখেলা উপভোগ করেন।রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। “আরব দেশে মানব বেশে,এলো একজনা’যার পরশে লোহা ঘসলে ,হয়ে যায সোনা” “জিন্দা দেহে মুরদা বসন, থাকতে কেন পরনা, মন তুমি মরার ভাব জান না, মরার আগে না মরিলে পরে কিছুই হবে না/ আমি মরে দেখেছি, মরার বসন পরেছি, কয়েকদিন বেঁচে আছি, তোরা দেখবি যদি আয় পাগলা কানাই বলতেছি।’ এমন শত শত গানের স্রষ্টা মরমী কবি পাগলা কানায়ের ২১৩ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে কবির মাজারে পুস্পঅর্পন করেন ও পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন এর সহযোগিতায় পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এ অনুষ্ঠান চলবে আগামী ১৬মার্চ পর্যন্ত। জানা যায়, লোক-সাধনা ও মরমী সঙ্গীতের এ কবি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের বেড়বাড়ি গ্রামে বাংলা ১২১৬ সালের ২৫ ফাল্গুন জন্মগ্রহণ করেন এবং বাংলা ১২৯৬ সালের ২৮ আষাঢ় মুত্যবরণ করেন।