সাতক্ষীরার আশাশুনিতে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পিরোজপুর সদর থানার এ.এস.আই রুবেল হোসেনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি রিভালবার, ৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন, দুটি হ্যান্ডকাপ ও একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়। শুক্রবার রাতে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। এরপর শনিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের আব্দুল আলিম সানার ছেলে পিরোজপুর সদর থানার এ.এস.আই রুবেল হোসেন ওরফে রানা (৩০), তার সঙ্গি পিরোজপুর জেলা সদরের পান্তাাদুবি গ্রামের রহম আলী শেখের ছেলে মনির হোসেন (৩৫), একই গ্রামের আনোয়ারুল শিকদারের ছেলে সোহেল শিকদার (৩৩), একই উপজেলা সদরের চর লোহারকাটি গ্রামের ইউনুস মৃধার ছেলে আবুল কালাম (৩৫) ও শিকারপুর গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২)।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর সদর থানার এএসআই রুবেল হোসেন তার চার সঙ্গীকে নিয়ে একটি প্রাইভেটকারে চড়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের রওশন আলী মোল্যার ছেলে আশিকুর রহমানের কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে এএসআই রুবেল হোসেন তাকে গ্রেফতারের হুমকি দেয়। এসময় গ্রামবাসী তাদের আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করে।
এঘটনায় আশাশুনি উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের রওশন আলী মোল্যার ছেলে আশিকুর রহমান ওরফে আশিক বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় ২টি হ্যান্ডক্যাপ, একটি রিভলবর ও ৮রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগজিন এবং আসামীদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্ধ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে আজ শনিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে