স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘অতীতে দেশ দখল করে সম্পদ অর্জন করা হতো। বর্তমানে আর তা দরকার হয় না, এখন জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে সম্পদশালী হওয়া সম্ভব। জ্ঞানই আলো ও সমৃদ্ধির উৎস। আর জ্ঞানের আধার হচ্ছে বই এবং লাইব্রেরি।’ জাতীয় গ্রন্থাগার ও সাহিত্য সম্মেলন -২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বই মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে তিনি বলেন, বইপাঠের মাধ্যমে মানুষ স্বপ্ন দেখে। বইপাঠ মানুষকে অনন্ত সুখ ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়। তিনি আরো বলেন, বই লেখকের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং স্বপ্ন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত করে। জ্ঞানের এই অগ্রসরতাই সভ্যতাকে এগিয়ে নেয়। এ সময় তিনি বইপাঠের সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, আমরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত আলোকিত প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বর্তমানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে ৮৭২টি পাঠাগারকে অনুদান প্রদান করছি এবং খুব দ্রুত এর পরিধি বৃদ্ধি করতে চাই। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করেছি যা পুরোপুরি সফল হয়েছে। আমরা গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্প হাতে নিয়েছি যেখানে সরকারি পাঠাগারের পাশাপাশি বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহও সংযুক্ত থাকবে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ ও ট্রাস্টি এর সভাপতি মালিক খসরু, পিপিএম।