আমেরিকা সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায় বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এ নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আলোচনা হয়েছ। তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকা কাজ করতে চায়। চীন ও বাংলাদেশের সব সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আরও সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আমেরিকার সহযোগিতার বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, আমেরিকারসহ বড় বড় দেশকে রোহিঙ্গা শরণার্থী নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। এতে অনেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবসহ বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা বাংলাদেশের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি একেবারেই ছোটোখাটো। আমেরিকা বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনাগুলোর সঙ্গে কাজ করতে চান উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা খুব ভাগ্যবান যে, অনেক দেশের নামজাদা কূটনীতিকরা এসেছেন। আমেরিকার কথা বলছেন, আমেরিকার সাতজন অত্যন্ত সিনিয়র কূটনীতিক এসেছেন, আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। তারা এসেছেন আমাদের সঙ্গে তাদের দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করাতে। করোনাকালে সফলতার বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, এ মিরাকল দেশের সঙ্গে তারা (আমেরিকানরা) সুসম্পর্ক রাখতে চান। আর এখানে নতুন নতুন যে সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, সেগুলোর সঙ্গে তারা সম্পৃক্ত হতে চান, সেজন্য এসেছেন। তাছাড়া এসেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ দূত। তিনিও বলেছেন যে, বাংলাদেশ সবচেয়ে উন্নয়নশীল মানে র্যাপিডলি ডেভলপিং কান্ট্রি। আর এখানে বহু ধরনের সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো তারা যাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারেন, সেজন্য তিনিও এসেছেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবও এসেছেন একই বার্তা নিয়ে যে, বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কাজ করতে চান। যে কারণে সবাই আমাদের প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন এবং আমরা খুব খুশি। এ সময় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি)ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।