খুলনার মোকামে কাাঁচাপাট বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। গত বছরের তুলনায় রপ্তানি কমেছে ৫০ ভাগ। তবে বর্তমানে রপ্তানি ব্যাপক কমলেও সামনে সম্ভাবনা দেখছেন খুলনার ব্যবসায়ীরা। পাট অধিদপ্তর, খুলনা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মোংলা বন্দর দিয়ে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, চীন, ব্রাজিল, ইউকে, জিবুতি, ভিয়েতনাম, অস্ট্রিয়া, স্পেন, জার্মানি, মেক্সিকো, ইউ এস এ,মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, জাপান, কোরিয়া, তুর্কি, ইন্দোনেশিয়া ও বেলজিয়ামের ও পাট রপ্তানি হচ্ছে। চলতি অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসে ১৯ কোটি ২২ লাখ টাকা মূল্যের ১৪ হাজার ৭৫০ বেল পাট রপ্তানি হয়। ২০২১ -২২ অর্থবছরে একই সময়ে ৩৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা মূল্যের ১২ হাজার বেল পাট রপ্তানি হয়। আর পরবর্তী ছয় মাসে (জানুয়ারী- জুন) ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় ১৯ হাজার বেল পাট রপ্তানি হয়। আরও জানা যায়, ২০২১ সালে বেসরকারি পাটকলগুলোর চাহিদা ও কাঁচা পাটের মূল্য বাড়ায় রপ্তানি বাণিজ্যে ভাটা পড়ে। ২০১৯-২০২০ সালে করোনার কারণে মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি হ্রাস পায়। পরের বছর বন্যার কারণে উৎপাদন কম হয়। সূত্রে জানা যায়,বিদেশে কাঁচাপাট রপ্তানিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে। দ্বিতীয় আঘাত আমদানিকারক দেশ গুলোতে ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে। দৌলতপুর মোকামে রপ্তানিকারকরা বেসরকারি পাটকলের কাছে কাঁচা পাট বিক্রি করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। দৌলতপুর মোকামের পাট রফতানি কারক শেখ কওছার আলী জানান, ডলার সঙ্কটের কারণে পাকিস্তান চাহিদা অনুযায়ী পাট কিনতে পারছে না। চীন, পাকিস্তান ও তুরস্কের বাজার সংকুচিত হয়েছে। ইউক্রেন -রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধে রপ্তানি বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে। তবে ভারতের বাজার ভালো যাচ্ছে । সেখানে প্রতি মেঃ টন প্রকারভেদে ৬শ’ থেকে ৯শ’ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, স্থানীয় বেসরকারি পাটগুলোতে বহিঃর্বিশ্বের তুলনায় কম মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) শেখ সৈয়দ আলী বলেন, স্থানীয়ভাবে চাহিদা থাকায় ব্যবসায়ীরা টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। কাঁচা পাটের বাজার কিছুটা ভাল হচ্ছে। আশা করছি সামনে আরো ভাল হবে। পাট অধিদপ্তর, খুলনার মূখ্য পরিদর্শক এ এম আকতার হোসেন বলেন, রাশিয়া- ইউক্রেণ যুদ্ধের প্রভাবে গত বছরের তুলনায় পাট রপ্তানি কমেছে। এছাড়া পূজি সংকটে অনেক ব্যবসায়ী এ বছর ব্যবসা বন্ধ রেখেছেন। বিদেশে রপ্তানি কমায় দরও তেমন ভালো যাচ্ছে না।