ঢাকার সাভারে ২৭তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন হয়েছে। রোববার (২২ জানুয়ারি) সকালে ৯২নং বলিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কৃমি সপ্তাহ-২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন করেন বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা।
উল্লেখ্য, এই কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে ৫-১৬ বছর বয়সী বিদ্যালয়গামী ও বিদ্যালয় বহির্ভূত সকল শিশুকে কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করানো হবে।
এব্যাপারে ডা. সায়েমুল হুদা এই প্রতিবেদককে জানান, কৃমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং খাবারের পুষ্টিটুকু খেয়ে ফেলে, যার দরুন শিশুরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুষ্টিহীনতায় ভোগে। কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে রক্ত শোষণ করে। ফলে শিশুরা রক্তশূন্যতায় ভোগে। যার দরুন বদহজম, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি হয়। এতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটে। ফলে শিখন ক্ষমতা হ্রাস পায় ও শ্রেণিকক্ষে সক্রিয় থাকতে বাধাগ্রস্ত হয়।
ডা. হুদা আরও জানান, কৃমি এপেন্ডিসাইটিস এবং অন্ত্রের অন্যান্য জটিলতাও সৃষ্টি করে, যাতে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। কৃমির অতিশয় সংক্রমণ মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
কৃমি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, পরিবারের সবাই একত্রে বছরে কমপক্ষে দুইবার (৬ মাস পর পর) কৃমির ওষুধ সেবন করতে হবে। খালি পায়ে চলাফেরা না করা এবং পায়খানা ব্যবহারের সময় স্যান্ডেল পরা। পায়খানার পর সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা। হাতের নখ ছোট রাখা আর এজন্য সপ্তাহে একবার নখ কাটা উচিত। পাশাপাশি খাদ্য দ্রব্য ঢেকে রাখা এবং খোলা বা অপরিচ্ছন্ন খাবার না খাওয়া, ফল-মূল খাওয়ার আগে তা নিরাপদ পানি দ্বারা ধোয়া এবং প্রতিবার খাবার গ্রহণের পূর্বে হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদ্বোধনকালে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক, প্রধান সহকারী প্রমুখসহ অন্যরা।