ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশির মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সায়েম ইমরান ও বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহগুলো হস্তান্তর করেন। এরপর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরেন স্বজনরা। ওই ৮ বাংলাদেশি হলেন মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী, একই থানার কদমবাড়ি গ্রামের মৃত পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, সরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ, কোদালিয়া গ্রামের কাজী সজীব, কেশরদিয়া গ্রামের কায়সার খলিফা, গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার রিফাত শেখ, একই থানার পদ্মপট্টি গ্রামের রাসেল শেখ এবং পদ্মাপট্টি গ্রামের ইমরুল কায়েস আপন। বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গির আলম জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ৮টি মরদেহ বিমানবন্দরে আসে। সেখান থেকেই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ফরেনসিক চিকিৎসকের সামনে কফিন খুলে দেখা যায়, মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তাই নতুন করে ময়নাতদন্ত না করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ৭ জনের নাম ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করে বিমানবন্দর থানায় হত্যা ও মানব পাচার সংক্রান্ত মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষরাতের দিকে এ দুর্ঘটনার পর ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করে লাশের সুরতহাল, শনাক্তকরণ, দেশি সংস্থার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা, মৃত্যু এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু সম্পন্ন করেন।