ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম ও পাঁচ লাখ টাকাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-৯, সিপিসি-১ এর অভিযানে উপজেলার কামাল মোড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. রাসেল (৩২), ফেনী সদরের আকরামপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৪) ও বিজয়নগর উপজেলার কামালমোড়ার সাহাব উদ্দিনের ছেলে মো. সানি মিয়া (১৯)। তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি চার লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা মূল্য মানের জাল টাকা, জাল নোট তৈরির সরঞ্জামাদি (স্ক্যানার সংযুক্ত কালার প্রিন্টার, প্রিন্টারের পাউডার কালি, জাল নোট তৈরির জন্য ব্যবহৃত সাদা কাগজ, হার্ড ড্রাইভ, কী-বোর্ড, মাউস, মাল্টি ফ্লাগসহ ইলেকট্রিক ক্যাবল, এন্টি কাটার এবং খালি জারিকেন ইত্যাদি) উদ্ধার করা হয়। এসব মালামালসহ গ্রেপ্তারকৃতদেরকে বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়। র্যাব-৯, সিলেট এর মিডিয়া অফিসার সহকারি পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে জাল নোট প্রস্তুতকারি ও বাজারজাতকারী চক্রের সদস্যরা জাল নোট প্রস্তুত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশের বিভিন্ন মার্কেটে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জাল টাকা প্রতারণামূলক ভাবে বাজারজাত করে আসছে। এই চক্রের সদস্যরা অল্প সময়ে অধিক মুনাফার আশায় আসল টাকার ভিতর জাল টাকা মিলিয়ে লেন দেন করে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে জাল নোট প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এ অবস্থায় গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জানতে পারে যে, জাল নোট বাজারজাতকারি চক্রের তিনজন অসাধু ব্যক্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানা এলাকায় অবৈধ ভাবে জাল নোট লেন দেন করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। ওই তথ্যেও ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কামালমোড়া মোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে জাল নোট তৈরির সরঞ্জমাদি ও জাল নোটসহ গ্রেপ্তার করা হয়।