আনোয়ারায় বঙ্গোপসাগর ও শঙ্খ নদীর মোহনা এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেল ১৬ টি লবণবাহী ট্রলার। এ ঘটনায় চারটি ট্রলারে থাকা ১৮ জন মাঝি-মাল্লা ও শ্রমিককে উদ্ধার করেন কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ। তবে এখনো ৭২ জন মাঝি-মাল্লা নিখোঁজ রয়েছে। বুধবার (৮ মে) ভোরে আনোয়ারার উপকূলের চার নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগর ও শঙ্খ নদীর মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া থেকে ১৬ টি ট্রলার লবণবোঝাই করে চট্টগ্রাম শহরের মাঝিরঘাট যাচ্ছিলো। পথে বঙ্গোপসাগরের আনোয়ারা উপকূল থেকে চার নটিক্যাল মাইল দূরে পৌঁছালে কালবৈশাখীর দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারগুলো। এতে একের পর এক ট্রলারগুলো ডুবে যায়। খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশ চার ট্রলার থেকে ১৮ মাঝি-মাল্লা ও শ্রমিক উদ্ধার করে। এতে প্রায় ৩০ হাজার মণ লবণ পানিতে তলিয়ে যায়। নিখোঁজ অন্যান্যদের উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ। কুতুবদিয়ার এমভি তৌফিক ইলাহি ট্রলারের মাঝি মানিক মিয়া বলেন, গত (মঙ্গলবার) বিকেলে কুতুবদিয়া থেকে লবণ বোঝাই করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। বুধবার ভোরে আনোয়ারার উপকূলে এসে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে আমাদের ট্রলারসহ প্রায় ১৮টি ট্রলার ডুবে যায়। প্রতিটি ট্রলারে ৬ জন মাঝি-মাল্লা রয়েছে। তারমধ্যে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশের সহযোগিতায় ১৮ জন মাঝি-মাল্লা ও চারটি ট্রলার উদ্ধার হলেও ১২টি ট্রলারসহ বাকি ৭২জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। বার আউলিয়া ঘাট নৌপুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত জানান, লবণবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় চারটি ট্রলারের উদ্ধার হওয়া ১২ জন আমাদের হেফাজতে রয়েছে। দুর্ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চারজন কোস্ট গার্ড স্টেশনে আছে। বাকি ট্রলারসহ নিখোঁজদের উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে।