টাঙ্গাইলে তীব্র দাবদাহের অবসান হয়েছে। সন্ধ্যার পর ঝরেছে বৃষ্টি। এতে জনমনে প্রশান্তির দেখা মিলেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল মানুষের।রোববার (৫ মে) বিকেল হতেই আকাশে কালো মেঘ দেখা দেয়। পরে সন্ধ্যায় শুরু হয় প্রশান্তির এক পশলা বৃষ্টি। খুব বেশি সময় বৃষ্টি না হলেও শীতল হয়েছে আবহাওয়া। এতে জনমনে প্রশান্তি মিলেছে। অনেকেই একটু বৃষ্টিতেই শরীর ভিজিয়ে নিয়েছে। বৃষ্টির কারণে সড়কের ধুলাবালি অনেকটাই কমে গেছে। অবশ্য, গতকাল রাতেও টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, মধুপুর ও ভূঞাপুরের কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রপাত ও বৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও গাছ ভেঙে গেছে। বজ্রপাতে ঘাটাইলে এক হোটেল বাবুর্চি মারা গেছেন। এদিকে, বৃষ্টির জন্য জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইস্তিসকার নামাজ আদায়, ব্যাঙের বিয়ে ও শিশুরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছিল। টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন বলেন, টাঙ্গাইলে গত ৩১ মার্চের পর অনেকদিন কোথাও কোনো বৃষ্টি হয়নি। আজ সন্ধ্যার পর শহরে বৃষ্টি হয়েছে। রাতে ঝড়সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। গতকালও কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে।