স্বামীর অধিকার ও সন্তানের পিতৃপরিচয় আদায়ে ছেলে মেয়ে ও বৃদ্ধ মা-কে নিয়ে পথে পথে ঘুরছেন অসহায় জানন্নাতুল ফেরদৌস। জনপ্রতিনিধি থেকে এলাকাবাসী সবাই জানেন জানন্নাতুল ফেরদৌস ও ডক্টর ইকবাল হোসেনের দাম্পত্য জীবনের কথা। কিন্তু আইনি জটিলতা ও স্বামী ইকবালের আর্থিক দম্ভে সবাই অসহায়। কেউ দাঁড়াচ্ছে না জানন্নাতুলের পাশে। যদিও এ নিয়ে একাধিক সরকারি অফিসে দরখাস্ত দেয়া হয়েছে। কিন্তু ডক্টর ইকবাল এ নারীকে সামাজিক ভাবে মেনে না নেওয়ায় এখনো স্বামীর নিজ বাড়ি যেতে পারেননি জানন্নাতুল ফেরদৌস। তাই প্রশাসন ও মানবাধিকার পরিষদের কাছে আইনি সহায়তা চাইছেন জানন্নাতুল ফেরদৌস। দাবি করছেন স্ত্রী ও সনন্তানের অধিকার। জানা যায়, বিগত ১৩/২/১৫ ইং পটুয়াখালী সদরে লতিফ স্কুল সংলগ্ন রেজিস্টার কাজী সাহেবের মাধ্যমে দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া এলাকার জালাল উদ্দিনের মেয়ে জানন্নাতুলের সাথে বর্তমান দুমকি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের কৃষি অনুষদ বিভাগের কর্মরত বরগুনা জেলার আয়লা”র আংগরাপড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ডক্টর এস এম ইকবাল হোসেনের সাথে পারিবারিক আলোচনার মাধ্যমে বিয়ে হয় । স্বামী ইকবাল হোসেন বিবাহ নিকাহ নামায় নিজেকে অবিবাহিত বললেও জানা যায় এটা তার দ্বীতিয় বিবাহ। প্রথম স্ত্রী মানসিক প্রতিবন্দী ও নিখোঁজ বলে জানান যার কারণে জানন্নাতুলকে বিয়ে করেন স্বামী ইকাবল হোসেন । জানন্নাতুল প্রথম কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ার কিছুদিন পরে প্রথম স্ত্রী সামনে আসলে নানান অযুহাতে বাঁকবিতর্ক চলতে থাকে এক প্রযায় পরে জানন্নাতুল বিয়ের বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে প্রথমে মেনে না নিলেও পরে তার পরিবার বিয়েটি মেনে নেয়। দিন পার হতে থাকলে বাড়ে স্বামী স্ত্রী দাম্পত্য জীবনের দূরত্ব দু-মাস বা ছয় মাস পর সনন্তাদের খোঁজ খবর নিতেন বলে জানান জানন্নাতুল । বর্তমানে ১টি পুত্র ১টি কন্যা সন্তান নিয়ে মানবতর জিবন পার করছেন গুরছেন স্বামী সন্তানের অধিকারের আশায় জেলার সকল সরকারি দপ্তর গুলোতে । জানন্নাতুল বলেন, গত ২ বছর ধরে ঘুমাতে পারছেন সন্তানের কী হবে এ চিন্তায়। তার শরীরে নানান প্রকার অসুখের সমস্যা দেখা দিয়েছে। ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছেন না দিতে পারছে না তাদের স্বাবিক জিবন ও পুষ্টিগত খাবার, এখন মানুষ তার দিকে আঙুল তুলছে। পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে। এখন মৃত্যু ছাড়া তিনি উপায় দেখছেন না। জানন্নাতুল আক্তার বর্তমানে নিজেকে অসহায় দাবি করে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জানান। তিন বছরের পুত্রসন্তান ও সাত বছরের কন্যা সন্তান এবং স্ত্রীর পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনের সহায়তা চেয়েছেন। এ বিষয়ে স্বামী এস এম ইকবাল হোসেন বিয়ে ও সন্তানের কথা স্বীকার করে বলেন, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। কলেজের কোন ফান্ড থেকে কোন টাকার খবর আসলেই আমার শাশুড়ি নানান প্ররকার অযুহাতে আমার কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে টাকা পয়শা হাতিয়ে নিয়ে যায় আমি বিষয়টি বুজতে পারলে তারা আমার বিরুদ্ধে নানান প্রকার মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার মানহানি করছেন মাত্র । আমার বা আমার স্ত্রী জানন্নাতুলের কোন সমস্যা নেই তাছাড়া আমি আমার সন্তানেদের লেখাপড়া ও যাবতীয় খোঁজ নিয়ে থাকি।আমাদের যাবতিয় সমস্যার মূল কারণ হল আমার শাশুরী বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান।