ভোট কেন্দ্রে অনিয়ম, কারচুপি ও এজেন্টদের বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি দেখানোসহ নানা অভিযোগ এনে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
বুধবার নির্বাচনের দিন বেলা সোয়া ১২টার দিকে ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া এমএইউ একাডেমি ভোট কেন্দ্রের মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার, অনিয়ম ও চরাঞ্চলের ৩০টি ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগে এনে ভোট বর্জনের এ ঘোষণা দেন।
জিএম সেলিম পারভেজ বলেন, এসব অনিয়ম বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। আমার বিশ্বাস ছিল ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন, ভোটকে রাতেই কুলষিত করেছেন। চরাঞ্চলের এজেন্টদের বের করে দিয়ে জাল ভোট, তাদের হুমকি ও মারধর করেছে। এসব আরও অনেক কারণ এনে তিনি এই ভোট বর্জন করেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে ফুলছড়ি উপজেলার ৬০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করছেন ৬০ জন প্রিজাইডিং, ৩১৫ জন সহকারী প্রিসাইডিং এবং ৬৩০ জন পোলিং অফিসার।
উপজেলায় ১ লাখ ২৬ হাজার ৪০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ৬২ হাজার ৯৭১ জন ও নারী ৬৩ হাজার ৬৯ জন। ফুলছড়িতে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে, ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে সাঘাটা উপজেলার ১০৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করছেন ১০৩ জন প্রিজাইডিং, ৬৬১ জন সহকারী প্রিজাইডিং এবং ১ হাজার ৩২২ জন পোলিং অফিসার। এ উপজেলায় ২ লাখ ৪১ হাজার ৭১২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৩ জন, নারী ১ লাখ ২১ হাজার ৫৯ জন।
সাঘাটা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে সামশীল আরেফিন টিটু সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান নির্বাচিত হওয়ায় এখানে ওই পদে ভোট হচ্ছে না। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।