নির্বাচনী সভায় কর্মীদের জন্য ভুরিভোজের আয়োজন করায় গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলা নির্বাচনের ঘোড়া প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাড জামিল হাসান দুর্জয়ের এক কর্মীকে ৫০হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে খাবারগুলো পাঠিয়ে দেয়া হয় এতিমখানায়।

পরে আবারো একই স্থানে অনুমতি ছাড়া সভা পরিচালনা করায় এই প্রার্থীর এক কর্মীকে সাজা দেয়ার প্রক্রিয়া করলে ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন প্রার্থী দুর্জয় ও কর্মী সমর্থকরা।

ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোভন রাংসাও উপস্থিত ছিলেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত সভাটি পণ্ড করেন।

আজ ৭ মে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নগরহাওলা গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাইখা সুলতানা।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, নগরহাওলা গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী সভা উপলক্ষে কর্মীদের জন্য খাবারের আয়োজন করায় হারুনুর রশিদ বাবুল নামের এক কর্মীকে অর্থদন্ড দেয়া হয়। সাথে খাবারগুলো স্থানীয় এতিমখানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী সহকারী কমিশনার ভূমি বলেন, প্রথমবার জরিমানা করে খাবারগুলো এতিমখানায় দিয়ে দেয়া হয়। সেসময় তাদেরকে সভা বন্ধের কথা বলা হয়। তারা নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় সভা পরিচালনা করে তাদের কর্মীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করছিল। পরে ফের সেখানে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হয়, সেখানে এক কর্মীকে একজনকে ভ্রাম্যমান আদালত সাজা দেয়ার প্রস্তুতি নিলে প্রার্থী এসে ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে অসৌজন্যসূলক আচরণ করেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থক। এ ঘটনা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে সভার আয়োজক সদস্য যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম এ ধরনের ঘটনা অস্বীকার করেন।

এ ঘটনায় ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হাসান দুর্জয়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।

উল্লেখ্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট জামিল হাসান দুর্জয় গাজীপুর-৩ আসনের প্রয়াত সাংসদ এডভোকেট রহমত আলীর ছেলে ও বর্তমান সরকার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রুমানা আলীর বড় ভাই।