নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আসামি গৌতম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮ এর সদস্যরা।
গ্রেপ্তার গৌতম মজুমদার ঝালকাঠির সদরের মৃত গৌরাঙ্গ মজুমদারের ছেলে ও গুয়াটন হেমায়েত উদ্দিন বিজ্ঞান শিক্ষায়তনের সহকারী শিক্ষক।
বৃহষ্পতিবার (৯ মে) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-৮ এর সদর দপ্তর।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার গৌতম মজুমদার ১৬ বছরের এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে কৌশলে নিজ ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। গত ৩ মে সকাল ৭টার দিকে ফাঁকা বাসার দরজা বন্ধ করে ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
একপর্যায়ে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় বাবাসহ স্বজনরা ওই ছাত্রীর সন্ধানে নামে। পরে বেলা ১১টার দিকে তাকে শিক্ষক হেমায়েত উদ্দিনের ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে আসামি কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও ও আপত্তিকর কিছু ছবি তুলে নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল ও ল্যাপটপে সংরক্ষণ করে রাখেন।
অপরদিকে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী ও তার পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে, ধারণকৃত ভিডিও এবং ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়াসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে শিক্ষক হেমায়েত উদ্দিন।
নানা বাধা-বিপত্তি ও হুমকি ধামকির পর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা এ ঘটনায় ঝালকাঠি জেলার সদর থানায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ও জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে র্যাব—৮, সিপিএসসি, ক্যাম্প ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। যার মাধ্যমে অবস্থান শেনাক্ত করে পিরোজপুর জেলার সদর থানাধীন লখকাঠি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি হেমায়েত উদ্দিন বিজ্ঞান শিক্ষায়াতনের সহকারী শিক্ষক গৌতম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর তাকে ঝালকাঠি জেলার সদর থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৮ এর সিনিয়র এএসপি ফয়জুল ইসলাম।