ভাওয়াল বীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০ম শাহাদাৎ বার্ষিকী। ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামাত মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আহ্সান উল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে। দিবসটি পালন উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরর বিভিন্ন স্থানে স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে পক্ষকাল ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ, স্মরণ সভা এবং বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ। গত ৭ মে সকালে গাজীপুর মহানগরীর ৩৯নং ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ( গাজীপুর-২ সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যাযে তিনি গ্রেফতার হন ও কারা ভোগ করেন। কিংবদন্তী এ নেতার শাহাদৎ বার্ষিকী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।