বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার পার্শ্বেই কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ড। এই ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ডে নেই কোন উন্নতমানের পাবলিক টয়লেট সুবিধা। বাসস্ট্যান্ডের অদুরেই রয়েছে নামমাত্র একটি পাবলিক টয়লেট। দেখভাল করার জন্য কেউ না থাকায় এবং সংস্কারের অভাবে ভাঙ্গা দরজা, অপরিচ্ছন্ন, দূর্গন্ধ আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ পরিত্যাক্ত হয়েছে কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ডের পাবলিক টয়লেট। যার ফলে চরম বিপাকে আর ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে বাসস্ট্যান্ডে আসা সাধারণ যাত্রী ও পথচারীদের। বেহাল দশার কারণে পাবলিক টয়লেটে প্রবেশ করতে না পেরে যাত্রী ও পথচারীরা যাত্রী-ছাউনি, পাবলিক টয়লেটের বাহিরে, রাস্তার ধারে প্রসাব করে। এতে দূর্গন্ধের কারণে যাত্রী ছাউনি এবং দোকানে বসে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে দোকানদার ও এলাকাবাসী জানান। পুরুষ মানুষ যেখানে-সেখানে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিলেও বিপাকে পড়ে নারী যাত্রীরা। এছাড়া দুই বছর পূর্বে কুন্দারহাট বাজারে পানি সাপ্লাইয়ের ৫টি ট্যাব সাবমারসিবল পাম্পসহ একটি টাংকি বসানো হয়েছিলো। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে সেটিও অকেজো হয়ে আছে। পাবলিক টয়লেট ও পানি সাপ্লাই সম্পর্কে সমস্যার কথা উল্লেখ করে এলাকাবাসী ও দোকানীরা জানান, কুন্দারহাট মেইন বাসস্ট্যান্ড একটি জনবহুল এলাকা। এখানে দেশব্যাপী মানুষের আনাগোনা। সমস্যা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পাবলিক টয়লেট নিয়ে সমস্যা দিন দিন বাড়ছেই। এলাকাবাসীর দাবি এই বাসস্ট্যান্ডে সরকারি অর্থায়নে একটি উন্নতমানের পাবলিক টয়লেট নির্মাণ এবং সাপ্লাই পানির জন্য বিদ্যুতের মিটার দিলে আমাদের সকলের জন্য উপকার হবে। স্থানীয় কীটনাশক ব্যবসায়ী ও সহকারি অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, কুন্দারহাট পাবলিক টয়লেট, সাপ্লাই পানির সমস্যাসহ মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে ড্রেনের পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্ষা এলেই আমাদের দোকান ও বসতবাড়ির মধ্যে হাটুপানি জমে যায়। এর প্রতিকার চাই। ৫নং ভাটগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এই প্রতিবেদককে জানান, পাবলিক টয়লেট সম্পর্কে কেউ আমাকে অবগত করে নি এবং সাপ্লাই পানির বিষয়েও জানি না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখি কি করা যায়। পাবলিক টয়লেট ও সাপ্লাই পানি সম্পর্কে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হুমায়ুন কবির বলেন, পাবলিক টয়লেট সংস্কার এবং সাপ্লাই পানির বিষয়েও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।