উপজেলার নির্বাচনের দিন ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে উপজেলা নির্বাচনে ভোট বর্জন সম্বলিত দলীয় লিফলেট বিতরণকালে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার ৮ মে) থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা নির্বাচনের ভোট, চার দফায় হবে এই ভোট। এই ভোট হচ্ছে ডামি ভোট, এই ভোট হচ্ছে প্রহসনের ভোট, এই ভোট হচ্ছে জালিয়াতির ভোট। এই ভোটে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাই, সারাদেশে আপনাদের যারা আত্বীয়-স্বজন-ভাই-বোন আছেন সবাইকে বলবেন কেউ যেন ভোট কেন্দ্রে না যায়। এই ডামি সরকারকে যেন কেউ সমর্থন না করে। উপজেলা নির্বাচনের ভোটের প্রাক্কালে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বনানী এলাকায় পথচারি, যানবাহন চালক ও যাত্রীদের হাতে উপজেলা নির্বাচনের ভোট বর্জন সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন রিজভী। এই সময়ে তার সঙ্গে দলের সহ অর্ধনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের সাবেক নেতা তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মহিলা দলের রেহানা সুলতানা আরজু, পান্না ইয়াসমীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রিজভী বলেন, বুধবার ১৫০ টি উপজেলায় আবারো প্রহসনের জালিয়াতির ডামি নির্বাচন করছে সরকার যে নির্বাচনে জনগন ভোট দিতে যায় না, যে নির্বাচনে ভোটারদের কোনো অধিকার নেই যেটি আবারো করতে যাচ্ছে ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর কারণ কি? কারণ একটিই। যাতে উপজেলা নির্বাচনে, সংসদ নির্বাচনে তাদের দলের লোকেরা কোটি কোটি টাকা লুটপাট করতে পারে। একজন উপজেলা চেয়ারম্যান এক‘শ বিঘার জমি-জমা করেছেন খবরে কাগজে এসেছে, আবার অনেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি করেছে। এই কারণে জনগণকে বাদ দিয়ে বিরোধী দলের অংশগ্রহনকে বাদ দিয়ে আবারো ডামি নির্বাচন তারা করতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, জনগণ এই ডামি উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না, গণতন্ত্রকামী কোনো রাজনৈতিক এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। বুধবারসহ চার দফায় যে উপজেলা নির্বাচন হবে সেই নির্বাচন জনগণ বর্জন করবে। যেভাবে ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন তারা বর্জন করেছে ঠিক একইভাবে এই উপজেলা নির্বাচনও বাংলাদেশের মানুষ বর্জন করবে। কারণ জনগণের ভোটের অধিকার যারা কেড়ে নিয়েছে তাদের কোনো ভোট ভোট নয়, এটি ডামি ভোট, প্রহসনের ভোটৃ. এই ভোটে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না, আপনারাও কেউ অংশ নেবেন না। উপজেলা নির্বাচনকে না বলুন, উপজেলা নির্বাচন বর্জন করুন।