জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জিএম কাদের) দায়িত্ব পালন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে চেম্বার আদালতে। এর ফলে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তিনি।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। আগামী সোমবার আপিল বিভাগে এ বিষয়টি শুনানি হবে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। জিএম কাদেরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছিল হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে রুলও জারি করা হয়েছে। বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এমন আদেশ দেন।
গতকালের আদেশের পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু একদিন পরই চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে রায় দেয়।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত জিয়াউল হক মৃধা জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
একই আদালতে মসিউর রহমান রাঙ্গা গত ৩ অক্টোবর জিএম কাদেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
এতে বলা হয়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়।
গত ৬ অক্টোবর জাতীয় পার্টির পক্ষে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী এ আবেদন করেন। আবেদনে জিএম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এর পর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।