বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘সরকারের ইচ্ছা হলো যেকোনোভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা। আর লুটপাট করে নিজেদের ভাগ্য বদল করা।’
শুক্রবার বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ লোডশেডিং, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, গণপরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নিহত নুরে আলম, আব্দুর রহিম, শাওনের মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জোন-৪ লালবাগ চকবাজার কামরাঙ্গীরচর থানার উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, রফিকুল আলম মজনু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, চকবাজার থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি হাজী টিপু সুলতান, চকবাজার থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাসেলসহ বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্র কি আছে? ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ আছে? আমরা যুদ্ধ করেছিলাম যাতে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, কিন্তু যেখানে প্রতিদিন খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ে, প্রতিনিয়ত পরিবহনের ভাড়া বাড়ে, চিকিৎসার খরচ বাড়ে, এরকম একটা দেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করে নাই।’
তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, তেলের মূল্য বৃদ্ধি, পানির মূল্য বৃদ্ধি, ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি, যানবাহনের ভাড়ার বৃদ্ধির প্রতিবাদ করার কারণে আমার ভাই নূরে আলম, শাওন, আব্দুর রহিম, শাওন প্রধান ও আব্দুল আলীমকে খুন করা হলো।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘মানুষ কষ্টে আছে, তার কষ্টের কথা বলছে। আর তার সমাধান না করে যে সরকার মানুষের বুকে গুলি চালায় সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। সেই সরকারকে আমরা মানি না, ওই সরকার জনগণ সরকার নয়। এই সরকারের পরিবর্তে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে আমাদের কাজ। আর যদি সেটা করতে পারি তাহলেই শুধু মানুষের কষ্ট দূর হবে। তাহলে মানুষের গুম খুন বন্ধ হবে।’