বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, এই অঞ্চলে এর আগে কখনো এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। এখানকার উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তারা যদি সেখানে পাহাড়াদার বসিয়ে দিয়ে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী উঠতে দিতো। তাহলে এতো বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটতো না।
এই সরকারের মানুষের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। কে বাঁচলো আর কে মরলো তাদের কোন যায় আসে না। কারণ তাদের কোন ভোটও লাগে না। তারা ১৫ বছর ধরে জগদ্দল পাথরের মত বসে আছে।
আর মিথ্যা মিথ্যা মিথ্যা কথা বলে আসছে।
আজ শনিবার পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের মাড়েয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বোদা ও দেবীগঞ্জ বিএনপির আয়োজনে করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিহতদের পরিবারের স্বজনদের হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এই ঘাট দিয়ে পূজার অনুষ্ঠানে যেতে সবাই উদগ্রীব থাকে। সরকার যদি সেখানে পরিচর্চা করতো তাহলে এতো জনের মৃত্যু হতো না।
মা ঘটে বসার আগে এক বড় একটা সলিল সমাধি হলো।
আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীসহ জেলার গণমাধ্যেম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় নৌকা ডুবির ঘটনায় নিহত ৬৯ জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে ১০ হাজার করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মাড়েয়া আউলিয়ার ঘাট এলাকা ঘুরে দেখেন।
নবচেতনা /আতিক