আগামীকাল রবিবার থেকে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পুনরায় সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে বিএনপি। চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে এটিই হবে শেষ সংলাপ। এই সংলাপের পরই গঠন করা হবে নতুন এই বৃহৎ রাজনৈতিক জোটের ‘লিঁয়াজো কমিটি’। তবে এই সংলাপেও ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল জামায়াতে ইসলামিকে রাখা হচ্ছে না।
পর্যায়ক্রমে প্রথম দফা সংলাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলের সঙ্গে পুনরায় আলোচনায় বসবে বিএনপি।
বেলা ১১টায় প্রথম দিনের সংলাপে অংশ নেবে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে বিএনপির পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্যদিকে, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে অংশ নেবেন পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টু, যুগ্ম-মহাসচিব সোহেল মোল্লা, আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাহবুবুর রহমান শামিম, উত্তরের সেক্রেটারি জামাল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু হানিফ ও উত্তরের সেক্রেটারি আবু ইউসুফ।
সরকারবিরোধী বৃহত্তর যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে চলতি বছরের ২৪ মে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম সংলাপ শুরু করে বিএনপি। প্রথম দফার ওই সংলাপে ২৩টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিল জেএসডি, গণফোরামের একাংশ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ইসলামী ঐক্যজোট, কল্যাণ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), লেবার পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), জাতীয় দল, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, সাম্যবাদী দল, ডেমোক্রেটিক দল (ডিএল), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), ইসলামিক পার্টি, পিপলস লীগ, ন্যাপ-ভাসানী ও বাংলাদেশ ন্যাপ।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফার সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাবনা এসেছিল- সেগুলোর সঙ্গে দল সরকারে গেলে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং নির্বাচনের আগে কোন কোন ইস্যুতে যুগপৎ আন্দোলন করা হবে- সেগুলো নিয়ে কয়েকটি পয়েন্টে আলোচনার জন্য লিখিত একটি এজেন্ডা তৈরি করা হয়েছে।
সেখানে নির্বাচন-পরবর্তী জাতীয় সরকার, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ও প্রশাসন, বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা রক্ষায় কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ সরকার কী ধরনের হবে, তার কাঠামো কী হতে পারে- এ বিষয়গুলোও রয়েছে। দ্বিতীয় দফার সংলাপে লিখিত এই প্রস্তাবনার ভিত্তিতে আলোচনা করবে বিএনপি।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন কীসের ভিত্তিতে হবে, সেটা তো সংলাপে তুলে ধরতে হবে। আন্দোলনের বিষয়বস্তু জনগণকেও জানাতে হবে।
সে সব বিষয় নিয়ে এবারের সংলাপে আলোচনা হবে।
নবচেতনা /আতিক