বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর সিংহাসন এখন নড়বড়ে। তাই ভয়াবহ দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতেই নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেপ্তার এবং মিথ্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু অনাচার, অবিচার ও লুটপাটকারী সরকারকে পরাজিত করতে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে কোনোভাবেই দমিয়ে রাখা যাবে না।’
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে ‘উচ্চ আদালতে জামিনে থাকা মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন শ্রীনগর উপজেলার ছাত্রদল ও যুবদল নেতাদের নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের’ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।
নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাকে মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ উল্লেখ করে- তা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান নিপীড়ক সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য নানামুখী নীলনকশা প্রণয়ন করে চলেছে। সরকার তাদের দুঃশাসনের প্রতিপক্ষ মনে করে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে আটকে রাখছে। যাতে বর্তমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সাহসী সংগ্রামে এগিয়ে যেতে না পারে।’
‘মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন শ্রীনগর উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক লিমন মোড়ল, কোলাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সনেট, সাবেক সহ-সভাপতি লেলিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মঞ্জিল, ছাত্রদল নেতা দিপু ও যুবদল নেতা রানাসহ ১২ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর এবং কারাগারে প্রেরণের ঘটনা সরকারের চলমান দমন-পীড়ন ও নিষ্ঠুরতারই ধারাবাহিকতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘গুম, খুন, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং দেশ পরিচালনায় চরম ব্যর্থতা আড়াল করতেই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার নানা কায়দায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে।’
এ ছাড়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন এবং স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু পৃথক বিবৃতিতে ১২ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় নন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নবচেতনা /এমএআর