ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে রাজধানীর নিলক্ষেত এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিকেল চারটার পর নিজেদের কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে নীলক্ষেত মোড়ে জড়ো হতে থাকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এরপর বেলা সাড়ে চারটার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হল সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনিম শাহরিয়ার মুনের নেতৃত্ব কাঠ, রড়, স্ট্যাম্প দিয়ে হামলা করে। এক পর্যায়ে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করে পিছু হটে।
এতে সংগঠনটির কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে পালাতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যাওয়া ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে লাঠি দিয়ে বেদম পেটায় ছাত্রলীগ। রক্তাক্ত এক ছাত্রদল নেতা এ সময় গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়কে ফুল দিতে এসেছিলাম। ফুল দিতে যাওয়ার সময় বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়।
হামলার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, ছাত্রদলকে সাধারণ জনতা ধোলাই দিয়েছে, ছাত্রলীগ দায়ী নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, কোন ধরনের হামলা বা অপ্রীতিকর ঘটনার দায় উপচার্যকে নিতে হবে। অন্যদিকে হামলার দায় অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীব চন্দ্রদাস।
স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, যে ছাত্র সংগঠনের উচ্চপদস্থ নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তাদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
এদিকে আহত ছাত্র দলের নেতাকর্মীদের প্রথমে ঢাকা মেডিকেল পরবর্তীতে কাকরাইল ইসলামি ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নবচেতনা /এমএআর