ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান লিটুকে অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন এক শিক্ষার্থী। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরমানুল হক।
আরমানুল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাই যখন অনশন করছিলেন, তখন সহকারী প্রক্টর মাহবুবুর রহমান স্যার তার অনশন ভাঙিয়ে আন্দোলন বানচালের জন্য চেষ্টা করছিলেন। তখন আমি স্যারকে বলেছিলাম যে, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগার স্টেক হোল্ড করেন অর্থাৎ ভিসি-প্রক্টর যারা আছেন, তারা এলে হাসনাত ভাই অনশন ভাঙবেন এবং আমরা আমাদের আন্দোলন স্থগিত করব। এ সময় ভিসি-প্রক্টর কেন বললাম ও এ পদবীগুলোর সঙ্গে স্যার কেন বললাম না, সেই অযুহাতে তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন এবং হাতে আঘাত করেন। এরপর তার নির্দেশে প্রক্টরিয়াল টিম আমাকে আটক করার চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, আমার হাতে থাপ্পড় দেওয়া, আমাকে তুই-তুকারি করার প্রতিবাদ না করলে এ শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ করতেই থাকবেন। প্রক্টরদের দায়িত্ব ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু মাহবুবুর রহমান স্যার যা করলেন, তা স্রেফ মাস্তানি ছাড়া কিছুই নয়। এ ধরনের শিক্ষকরা নিজেদের জমিদার ভাবেন, আর শিক্ষার্থীদের ভাবেন প্রজা। আমি চাই সহকারী প্রক্টরকে অপসারণ করা হোক। তারা বুঝতে শিখুক, এই ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাদের দাস নয়।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থী হয়রানি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে আট দফা দাবিতে আমরণ অনশনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহকে সংহতি জানাতে আসা আরমানুল হকের সঙ্গে কথার এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আঙুল উঁচু করে ‘সহ্যের একটা সীমা আছে’, ‘এই তুই কে?’ ‘ভিসি কি, ভিসি স্যার বল’ ‘ভিসিকে স্যার বলা যায় না’ ইত্যাদি বলতে থাকেন। এ সময়ের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
নবচেতনা /এমএআর