বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে ক্ষমতাসীন দলের যে তাণ্ডব চলছে, এটা নজিরবিহীন। যারা তাণ্ডব চালাচ্ছে তাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগ নেতা।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, গতকাল গণমাধ্যমে এসেছে, কীভাবে চাইনিজ কুড়াল নিয়ে বিএনপি এবং ছাত্রদলের নেতাদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতাকর্মীরা। রক্ত তৃষ্ণায় তারা কাতর হয়ে গেছে। এটাই আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। রক্তের ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে তারা।
তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসুদকে না পেয়ে তার বৃদ্ধ মা-বাবাকে এমন কঠিনভাবে প্রহার করা হয়েছে তারা এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে। এছাড়া সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। যা দেশের গণমাধ্যমে এসেছে।
‘আমরা কোনো নির্দেশনা দেইনি সমাবেশে হামলা করার জন্য’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, এই কথাতেই প্রমাণিত হয় তারাই নির্দেশ দিয়েছেন হামলা করার জন্য। না হলে একটা ছাত্রের হাতে চাইনিজ কুড়াল থাকবে কেন? রামদা থাকবে কেন? পাড়ায়-মহল্লায় গ্রামেগঞ্জে থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ছাত্রলীগ মানেই হচ্ছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। এখন মায়েরা তার সন্তানকে ঘুম পাড়াবে ছাত্রলীগের ভয় দেখিয়ে। বলবে বাবা ঘুমিয়ে যা না হয় ছাত্রলীগ আসবে। এদের নাম শুনলেই প্রত্যেকটি জায়গায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
রিজভী আরও বলেন, দেশব্যাপী এমন তাণ্ডব চলছে। সহিংস রক্তপাতের যে পরিকাঠামো নির্মাণ করেছেন শেখ হাসিনা, তাতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। কারও চোখ অন্ধ হয়ে গেছে স্প্লিন্টারে। সেইসঙ্গে প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে তিনজনের, ভোলাতে দুইজন এবং নারায়ণগঞ্জে একজন।