সংক্রমণ বেড়ে গেলেও এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাবা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রথম দিন মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চতুর্থ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসানসহ দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাবছি না। এটা তো সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থাকলেও তো সংক্রমিত হবে। আমাদের কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কিছু সংক্রমণ হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বা আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঠিক আছে, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আগেও বসেছি। হয়তো আগামী দুই-একদিনের মধ্যে আবার বসবো।
সংক্রমণের হার কত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ হার আমরা যেটা দেখি, কতগুলো পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে কতজন পাওয়া যাচ্ছে। আমরা তো কমিউনিটি রেটটা সেভাবে পাচ্ছি না। এখন অনেকেই মনে করছেন—ওমিক্রন, এটা তো কোনো বিষয় না, এটাতে মৃত্যুর ঝুঁকি নেই, কাজেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশে ওমিক্রনের চেয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। এটিতে মৃত্যুঝুঁকি আছে। কাজেই আমরা যেন স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলি।
ক্লাসরুমের বিকল্প ব্যবস্থা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট করে আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে বলা আছে। এখন আমাদের প্রচেষ্টা হলো জীবন যতখানি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব সেটা রেখে আমরা করোনা মোকাবিলা করবো। যদি এমন দেখা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, আমরা ক্লাস চালু রাখতে পারছি না, তাহলে আমাদের অনলাইনে যেতেই হবে। এখন অনলাইন বা অ্যাসাইমেন্ট আমরা চালু রাখছি কারণ সবাই তো আসতে পারছে না। অনেকের বাড়িতে অসুস্থতা আছে, কেউ নিজে অসুস্থ হলে সেক্ষেত্রে অন্য কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে। আমরা বিকল্প পদ্ধতিও চালু রাখছি।
দীপু মনি বলেন, যেখানে এখনো ভার্চুয়ালি সম্ভব না সেখানে অ্যাসাইন্টমেন্ট দেবো। গত ছয় মাসেও তো আমাদের কিছু ক্যাপাসিটি বেড়েছে, তারপরেও তো আমরা শতভাগের কাছে পৌঁছাতে পারবো না।
১২ বছরের নিচের শিশুদের টিকা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১২ বছরের নিচের শিশুদের জন্য টিকা এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন করেনি। যদি করে তাহলে আমরাও এটা নিয়ে ভাববো। এখন এমন একটি জায়গায় যাচ্ছে যে, মোটামুটি কমিউনিটিতে সবদিকেই এখন সংক্রমণ।