কক্সবাজার টেকনাফের মানুষের মাঝে শুরুর দিকে অবিশ্বাস এবং ভয় কাজ করলেও এখন স্বাচ্ছন্দ্যে টিকা নিচ্ছেন সবাই। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত (সাত মাসে) ১৩ হাজার ৮৫০ জন মানুষ টিকা নিয়েছেন। আর এ অঞ্চলে টিকা পেতে নিবন্ধিত হয়েছেন ৪০ হাজার মানুষ। এতে গত এক সপ্তাহ ধরে টিকাদানে উর্ধ্বমুখী গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ‘রোহিঙ্গা অধ্যুষিত টেকনাফে সবমিলে এ পর্যন্ত মোট টিকা নিয়েছেন ১৩ হাজার ৮৫০ জন মানুষ। তার মধ্য একদিনে শনিবার ৩ হাজার ৪৩৬ জন মানুষ টিকা নেয়। তবে অতি দ্রুত সেন্টমার্টিনও টিকাদান শুরু করা হবে। আগের তুলনায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে টিকাদানে সাড়া অব্যাহত রয়েছে জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শহর থেকে গ্রামে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরুর উদ্বোধনী প্রথম দিনে (৭ আগস্ট) গত শনিবার উপজেলার পাচঁটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৩ হাজার ৪৩৬ জন মানুষ টিকা নিয়েছেন। একই দিন মানুষ টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন ১০ হাজার মানুষ।
এছাড়া গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টেকনাফে টিকাদান শুরু হলে, ৭ আগস্ট পর্যন্ত (সাত মাসে) ১৩ হাজার ৮৫০ জন টিকা নিয়েছে। এ অঞ্চলে টিকা পেতে নিবন্ধিত হয়েছেন ৪০ হাজার মানুষ।
সিভিল সার্জন অফিসের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, জেলায় ২০২০ সালের প্রহেলা এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ৬ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্য ১৯ হাজার ২৯৭ জনের জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে তার মধ্যে ২ হাজার ৬৫৪ জন শরণার্থী। এখন পর্যন্ত জেলায় ২০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।এর মধ্য ২৯ জন রোহিঙ্গা ছিল।
টেকনাফ উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, ‘দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গ্রাম পর্যায়ে টিকাদান শুরু করছে। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এই অঞ্চলের জন্য এটি খুবিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাছাড়া আগের তুলনায় এখানকার মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে টিকা নিচ্ছেন অনেকেই।’
তিনি বলেন, তাই বলে ঢিলেমি দিলে চলবে না। টিকা নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে, টিকা মৃত্যু কমাবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা একটি অন্যতম পন্থা; তবে একমাত্র পন্থা নয়।’