লকডাউন উপেক্ষা করে রাজধানীতে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করা মানুষের চাপ অব্যাহত রয়েছে শিমুলিয়ায়-বাংলাবাজার ঘাটে। এসব মানুষকে নিয়ে আসা সহস্রাধিক যানবাহন শিমুলিয়ায়-বাংলাবাজার ঘাট পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকাল হতে শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৬ শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ সহস্রাধিক গাড়ি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আফজাল হোসেন বলেন, ‘ঢাকার মিরপুরে যাবো কর্মস্থলে। পরিবার নিয়ে ঈদ করতে খুলনা গিয়েছিলাম ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে। আজ আসছি ঢাকা যাবো বলে। তবে লকডাউনের কারণে আমাকে ঢাকায় ঢুকতে কষ্ট হচ্ছে। রোববার থেকে কাজে যোগ দেবার কথা। গণপরিবহন বন্ধ তাই পায়ে হেঁটে হলেও গন্তব্যে যেতে হবেই।’
আকরাম হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে গিয়েছিলাম। এখন কর্মস্থলে যাচ্ছি ঢাকার উত্তরায়। গাড়ি না চলায় ভোগান্তিতে আছি। এখন আবার জ্যাম। খুব খারাপ অবস্থা।’
সেলিনা আফরোজ ঢাকায় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সপরিবারে গিয়েছিলেন বাগেরহাটে। তিনি বলেন, ‘সচরাচর গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না। কোরবানি উপলক্ষে প্রতিবছর যাই। চাকরিতে যোগ দিবো বলে লকডাউন উপেক্ষা করেই ঢাকার জিগাতলা ফিরছি। ঘাটে অনেকক্ষণ আটকে থাকাতে বাচ্চাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।’
মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ঘাটে আসা শত শত যাত্রীসহ যানবাহনগুলো পারের অপেক্ষায় রয়েছে। ফেরিতে উভয়মুখী যাত্রীর চাপ রয়েছে। বাড়ি ফেরা মানুষের চাইতে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের সংখ্যাই বেশি এই ঘাটে। অন্যদিকে, লঞ্চে চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিতে করে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফেরিতে যাত্রী চাপ ও গাদাগাদিতে আজও উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।
মাওয়া নৌপুলিশের পরিদর্শক (টিআই প্রশাসন) মো. জাকির হোসেন জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট বড় মিলিয়ে ৬ শতাধিক ট্রাক ও ছোট-বড় ৪শসহ মোট এক হাজার যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া, নৌরুটে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ১০টি ফেরি সচল রয়েছে।
মাওয়া নৌফারির ইনচার্জ মো. সিরাজুল কবির জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোতে নৌরুটে ফেরি চলাচলে বেশি সময় লাগছে। তাই ঘাটে থাকা যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে।