মিয়ানমার সীমান্তের কাছে ১১ ঘণ্টা সাগরে আটকে থাকার পর ৪০ জন যাত্রীকে নিয়ে অবশেষে টেকনাফের সেন্টমার্টিনে ফিরতে সক্ষম হয়েছে একটি ট্রলার।বুধবার ভোর ৫টার দিকে তারা সেন্টমার্টিন জেটিতে পৌঁছান।
ফিরে আসা যাত্র্রীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী ট্রলাারটি মিয়ানমার সীমান্তের কাছে নাইক্ষ্যংদিয়া চর এলাকায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে আটকা পড়ে। এ সময় চালক অপর একটি ট্রলারকে উদ্ধারের জন্য খবর দেয়াহ হয়।
ট্রলারে থাকা যাত্রী আবদুল্লাহ সরকার বলেন, ‘শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে যিনি আমাদেরকে নিরাপদে পৌঁছিয়েছেন।আল্লাহ এমন কঠিন বিপদ থেকে আমাদেরকে কুলে ফিরে আনছেন।তবে আমরা যে ট্রলারটি ছিল সেইটি ডুবে গেছে।আল্লাহর অশেষ রহমতে কারো কয় ক্ষতি হয়নি।’
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, সন্ধ্যায় একটি যাত্রীবাহী ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে টেকনাফ পৌরসভার কাইয়ূক খালী (কে কে) পাড়া ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বৈরি আবহাওয়া ও ভাটার কারণে নৌপথের মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি নাইক্ষ্যংদিয়া চরে আটকেপড়ে। সেখানে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
ওই ট্রলারে ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী ছিল জানিয়ে চেয়ারম্যান আরও বলেন, আটকেপড়া ট্রলারকে উদ্ধারে অপর একটি ট্রলার ঘটনাস্থলে গিয়ে তারাও একই দুর্ভোগে পড়েন। পরে তৃতীয় ট্রলার ঘটনাস্থলে যায়। রাত ২টায় জোয়ার আসার পর তিনটি ট্রলারই যাত্রীসহ সেন্টমার্টিনের পথে রওনা দেয় এবং ফজরের আজানের দিকে দ্বীপে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সাগর বৈরি থাকায় ট্রলারগুলোকে বেশি বেগ পেতে হয়েছে। সেন্টমার্টন থেকে আরেকটি ট্রলার উদ্ধারে গেলে সেটিও চড়ে আটকা পড়ে। পরে উপজেলা প্রশাসনের পরামর্শক্রমে উদ্ধারে যায় আরও দুইটি ট্রলার।
ট্রলারগুলো ভোরে জোয়ারে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ চৌধুরী। তিনি জানান, যাত্রীরা নিরাপদে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছেছেন। তবে আটকে পড়া ট্রলার এখনও ঘটনাস্থলেই আছে। সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।