টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের সীমান্ত সড়কের বাঁধের একাংশে সাগরের জোয়ারের আঘাতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন অতি ঝুঁকিপূর্ণ অংশে এ ভাঙণ দেখা দেয়। এলাকাবাসীর আশঙ্কা দ্রুত সময়ে সংস্কারের উদ্যেগ না নিলে এ ভাঙণ আরো বড় হয়ে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, সীমান্ত সড়কের এই অংশটি বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন হওয়ায় সব সময় ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকে। কোনভাবে একবার ভাঙণ দেখা দিলে সেটি বড় আকার ধারণ করতে পারে। এখানে সাগরের বড় ঢেউ প্রতিনিয়ত আঘাত করায় অতি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ জরুরি। এক্ষেত্রে বাঁধের বাইরের অংশে ব্লক না বসালে সীমান্ত সড়কের এ বেড়িবাঁধ টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সোনা আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী উপকূলের সুরক্ষার জন্য কোটি কোটি টাকার বেড়িবাঁধ প্রকল্প দিচ্ছেন। কিন্তু সেই বাঁধ নির্মাণ শেষ হতে না হতে ভাঙণ দেখা দেয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন ধরনের গাফিলতি আছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাস্টার জাহেদ হোসেন বলেন, নাফনদ ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সীমান্ত সড়কের বাঁধে কয়েকটি অংশ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ দেখা যাচ্ছে। বাঁধ টেকসই করতে বাঁধের বাইরে ঝুঁকিপূর্ণ অংশে ব্লক বসানোর বিকল্প নেই। তাই আমরা এলাকাবাসী টেকসই বাঁধের স্বার্থে সীমান্ত সড়কের বাঁধেও ব্লক বসানোর দাবি জানাচ্ছি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাফ নদের তীর ঘেঁষে সম্প্রতি নির্মাণ শেষ হয়েছে শাহপরীর দ্বীপ অংশে। কিন্তু শাহপরীর দ্বীপ অংশের প্রায় এক হাজার মিটার অংশ খুবই ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলো নাফনদ ও বঙ্গোপসাগরের অংশে হওয়ায় ঢেউয়ের আঘাতে যেকোন সময়ে সীমান্ত সড়কের এ বেড়িবাঁধ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এলাকাবাসী যেমনটি দাবি করেছে বাঁধের সেই অংশে ব্লক বসানোর উদ্যেগ নিলে সীমান্ত সড়কের এ বাঁধ টেকসই হবে, তা অনেকটাই যুক্তিসঙ্গত বলে প্রতীয়মান হয়।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কক্সবাজার এর উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, সীমান্ত সড়কের শাহপরীর দ্বীপ অংশে ভাঙনের বিষয়টি অবগত হয়েছি। গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে সেখানে সংস্কার করা একটু কঠিন। যত দ্রুত সম্ভব ভাঙন অংশ সংস্কার করা হবে। এছাড়া সীমান্ত সড়কের ব্লক বসানোর একটি প্রস্তাব উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি গৃহীত হলে সীমান্ত সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে ব্লক বসানো সম্ভব হবে।