দেশজুড়ে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনেও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ফেরিতে চড়ে মাদারিপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে যাত্রী ও যানবাহন আসছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া প্রান্তে। এসব ফেরিতে আসা যাত্রীরা কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ রিক্সা নিয়ে রাজধানীতে নিজ গন্তব্যে রওয়ানা হচ্ছেন।
রোববার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি গুলোতে শত শত যাত্রী ও ব্যাক্তিগত প্রাইভেট কারের ভিড় দেখা গেছে। তবে বাংলাবাজার ঘাট হতে আসা ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ অপেক্ষাকৃত বেশি।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া প্রান্তে যাত্রী কিংবা যানবাহনের তেমন চাপ নেই। তবে বাংলাবাজার থেকে আসা ফেরিগুলোতে যাত্রী ও ছোট বড় যানবাহন রয়েছে চোখে পরার মতো। ফেরি থেকে নেমেই রাজধানীমুখী এসকল যাত্রীরা বিভিন্ন মাধ্যমে স্ব স্ব গন্তব্যে ছুটছেন। বর্তমানে ৮ টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার অব্যাহত রয়েছে। বিধিনিষেধ অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল সম্পুর্ণ বন্ধ রয়েছে।
লকডাউন বাস্তবায়নে ঘাট অভিমুখে এবং ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশের নজরদারি, চেকপোস্ট রয়েছে। তাসত্ত্বেও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শতশত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করছেন। জরুরি ও বিধিনিষেধ আওতার বাইরে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের কথা থাকলেও পারাপার হচ্ছে প্রায় গণহারে সবাই।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌপরিবহন কর্পোরেশনের(বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, নৌরুটে বর্তমানে ৮টি ফেরি চলাচল করছে। বাংলাবাজার ঘাট থেকে যেসব ফেরিগুলো আসছে সেসব ফেরিতে যাত্রী এবং ছোট যানবাহনের চাপ রয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী এ নৌরুটে আজও লঞ্চ চলেনি, লঞ্চঘাটে যাত্রীও নেই। ঘাটে যেসব যাত্রীরা আসছে তারা ফেরিতে পার হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, মুন্সীগঞ্জে একাধিক চেকপোস্ট রয়েছে। পুলিশ সরকারি বিধি নিষেধ পালনে যাত্রীদের বাধ্য করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে এবং শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পুলিশের একাধিক চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।