ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে চলমান লকডাউন শিথিল করার পর থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে রাজধানী ঢাকা থেকে আসা দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফেরির চারটি পন্টুনে পণ্যবাহী ছোট বড় যানবাহনের সাথে যাত্রীচাপও রয়েছে। তবে লঞ্চ চলাচল শুরু করায় লঞ্চ ঘাটেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৭টির মধ্যে ১৩ টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে পদ্মা নদী পারের অপেক্ষায় প্রায় ৪ শতাধিক ছোট বড় যানবাহন রয়েছে। লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে।
এদিকে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। লঞ্চে উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী পরিচালক সাহাদাত হোসেন বলেন, এ রুটে মোট ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। বাকি লঞ্চগুলোর কাগজপত্র আপডেট করা নেই, এজন্য চালাতে পারছে না। লঞ্চঘাটগুলোতেও যাত্রীদের চাপ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে একাধারে ১৪ দিনের সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন শেষে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে তা শিথিল করে লঞ্চ ও গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর থেকে রাজধানী ছেড়ে শিমুলিয়া ঘাটে এসে ফেরি ও লঞ্চে চরে পদ্মা পারি দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে নিজ গ্রামে যাচ্ছে মানুষ।