জাতীর পিতার জন্মভূমি গোপালগঞ্জে বৃষ্টিতে ভেঙ্গে পড়লো বহুল আকাঙ্খিত ভূমিহীন মানুষদের আবাসস্থল। তবে এঘটনায় হতাহতের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের মধুপুর গুচ্ছ গ্রামে এ ভাঙ্গনের ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভূমিহীন ইব্রাহীম খান ও জাফর শিকদারের ঘর ২টি মারাত্মকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে।
অপরদিকে ওই গুচ্ছ গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের অধিকাংশ ঘরে ফাটলসহ বিভিন্ন ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন ও ফাটলের ঘটনায় গুচ্ছ গ্রামে বসবাসরত জনগণের মধ্যে বেশ হতাশা বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন বাসিন্দারা বলেন, আমরা পরিবার নিয়ে খুব হতাশায় আছি। মাথা গোজার যে ঠাই দিয়েছিলেন জাতির পিতার কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্যী শেখ হাসিনা কখন যেন তা ভেঙ্গে পরে। ঘরের নিচেতো ইট নাই, দেওয়ালও ততটা মজবুত নয়। আর সিমেন্ট দিয়েছে নামমাত্র। সবইতো বালির আস্তরণ। জানি না কতদিন এটা স্থায়ী হবে।
এব্যাপারে উরফি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল গাজী বলেন, বৃষ্টিতে বালু সরে গিয়ে ২টি ঘর ধসে পড়েছে। ভেঙ্গে পড়া এই ঘর দুটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বিনামূল্যে বিতরণ করা প্রথম পর্যায়ের ৪৮০টি ঘরের অংশ।
এদিকে ভেঙ্গে পড়া ঘরগুলো বুধবার সকাল থেকে মেরামতের কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, গতকাল বড়ধরনের বৃষ্টির কারনে ঘর দুটি ভেঙ্গে পড়েছিল। আজ মেরামত করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি মিটিংয়ে আছেন অযুহাতে এবিষয়ে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করে।।
উল্লেখ্য যে, ঘর বরাদ্দপ্রাপ্ত লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে দৈনিক নবচেতনার প্রতিনিধি সরেজমিনে পরিদর্শন সাপেক্ষে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে মর্মে কয়েক মাস আগে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিলো, ‘মুজিব শতবর্ষের ঘরের নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট, বালু, কাঠ, জানালা-দরজা ব্যবহার, ইট গাথুনিতে সিমেন্টর পরিমাণ কম। মাটির নিচে ভিত্তিতে ১ ফুটের পরিবর্তে ৫ ইঞ্চি ইটের গাঁথুনি দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম, খরচ বাঁচানোর জন্য জানালা-দরজার লেভেল পর্যন্ত ইটের গাঁথুনি হওয়ার পরে ঘুরিয়ে লিন্টন না দিয়ে নাম মাত্র কাটা লিন্টন দেওয়ার কথা উল্লেখ করাসহ পরবর্তিতে ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকির কথা বলা হয়েছিল।’ যার শত্যতা আজ প্রমানিত হয়েছে।