শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা আশা করছি ১৩ জুন থেকে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে খুলে দেওয়া নির্ভর করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার ওপর।
বুধবার (২৬ মে) দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি ও শিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি, সেক্ষেত্রে ২০২১ সালের এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তারা হয়তো সপ্তাহের ছয়দিন ক্লাসে আসবে। ২০২২ সালে যারা এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাদেরকে হয়তো একই সময়ে ক্লাসে নিয়ে আসা হবে। অন্যান্য ক্লাসের ব্যাপারে হয়তো সপ্তাহে একদিন তাদের ক্লাসে নিয়ে আসা হবে।
দীপু মনি বলেন, স্কুল কলেজ খোলার ব্যাপারে আমরা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে কাজ করছি। করোনা মোকাবিলায় পরামর্শক কমিটি রয়েছে তাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। সংক্রমণের হার কমে আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব। এখন আমরা দেখছি ৫ শতাংশ উপরে রয়েছে। আমাদের এসব বিষয় মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে মানববন্ধন হচ্ছে, এসব বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার আওতায় আনার পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে কতজন শিক্ষক শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে সে তথ্য ইউজিসির কাছে চেয়েছি। শিক্ষার্থীদের বয়স ৪০ এর কম তাদের বিশেষ বিবেচনায় টিকা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। নতুন টিকা আসলেই তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন। এক্ষেত্রে আবাসিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।