ঈদের কারণে সরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় হাটহাজারী বিদ্যুৎ বিভাগ সর্বশেষ তারিখ থেকে একদিন আগে বিল গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় ব্যাংকে বিদ্যুৎ বিলের গ্রাহকে চাপ বেড়ে যায়।
গ্রাহকের চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়োমিত ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাই বিল নেওয়ার সময়সীমা রোববার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বেঁধে দেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই সময় সীমার মধ্যে অনেকে বিল পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাংকের সামনে হট্টগোল ও বিক্ষোভ সৃস্টি হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রাহকদের আগামী সোমবার বিল নেওয়ার কথা প্রকাশ করেন ব্যাংক কতৃপক্ষ। এদিকে গ্রাহকদের অভিযোগ সর্বশেষ তারিখের একদিন আগে বিল দেওয়ায় আমরা বিল দিতে সমস্যায় পড়েছি। এ মাসে বিদ্যুৎ বিলের তারিখ হাতে লিখে দেওয়ার কারণে আমরা মোবাইল দিতে পারছি না, তাই ব্যাংকে আসছি। ব্যাংকে বিল প্রদানের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় আমরা সেখানেও দিতে পাচ্ছি না। প্রতিনিয়ত হাটহাজারী বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃপক্ষ এর অবহেলার কারণে আমরা প্রায় সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে সোনালি ব্যাংকে হাটহাজারী শাখার ব্যবস্থাপক জানান, করোনায় আমাদের কিছু সদস্য আক্রান্ত হওয়ার কারণে আমরা ব্যাংকে সামজিক দুরুত্ব ও সময়সীমা কমিয়ে দিয়েছি। এই পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৫শত অধিক বিদ্যুৎ বিলের গ্রাহক বিল গ্রহণ করি। সময়সীমা শেষ হওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিল গ্রহণ। এই বিলের কারণে আমাদের সার্বিকভাবে স্বাভাবিক ব্যাংকিং লেনদেন বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর সাথে মুঠো ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঈদে বন্ধ থাকায় আমরা গ্রাহকদের নির্দিষ্ট সময় বিল পৌঁছে দিতে পারিনি। এ মাসে বিদ্যুৎ বিলে হাতে লেখার কারণ জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন আমাদের প্রদান অফিস থেকে যে তারিখ দেওয়ায় হয়েছে সেটা বন্ধের তারিখ থাকায় আমরা অনুমতি নিয়ে হাতে ঐ তারিখ কেটে ২৩ মে করে দিয়েছি। তাই মোবাইল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আমি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব,যাতে সময়সীামাটা বাড়ানো হয়।