গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহের কারনে মানিকগঞ্জে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর। প্রচণ্ড তাপদাহে পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দাম কিছুটা বেশি হলেও সে দিকে তাকাচ্ছে না শ্রমজীবী মানুষগুলো।
তাল হলো গৃষ্মকালীন ফল। পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক, আয়রণ, ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন খনিজ উপাদান। এর সঙ্গে আরা রয়েছে আন্টি অক্সিডেন্ট এবং আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। গ্রীস্মের প্রচণ্ড গরমে মানুষ তালের শাঁস কেনার প্রতি ঝুকছেন।
গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার তালের শাঁস বিক্রিও বহু গুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তালের শাঁসের কদর বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া অন্য পেশার মানুষ। তারা গ্রামাঞ্চল থেকে তাল সংগ্রহ করে, সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ রাস্তার পাশে, অলিতে-গলিতে তালের শাঁস বিক্রি করছেন।
সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায় প্রতি তাল বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায় এবং আকারে ছোট তাল বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায় অর্থাৎ প্রতি শাঁস তাল ৭ টাকা এবং আকারে ছোট গুলো প্রতি শাঁস৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাটুরিয়া সদর বাজারে তালের শাঁস বিক্রেতা বুইদা বসাক বলেন, তাল গুলো সংগ্রহ করতে হয় গ্রাম অঞ্চলে গিয়ে এবং সেখান থেকে ভ্যান ভাড়া দিয়ে বাজারে আনতে প্রত্যেক তাল প্রায় খরচ পড়ে যায় ১৫ টাকা আর আকারে ছোট গুলো ১০ টাকা। সারাদিন খাটাখাটনি করে বিক্রি হয় প্রায় হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, আয় যেমন কষ্টও তেমনই হয় ।