করোনা মহামারিতে লকডাউনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ফের অবৈধভাবে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার শুরু করেছে। এঘটনায় মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল সমুদ্র উপকূলে মাছধরার ট্রলার থেকে পাঁচ শিশুসসহ মোট ত্রিশজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদস্যরা। আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন- জায়নুব, মো. সালমান, ইসমত আরা, নুরকলিমা, হাসিনা, রাসেদা, আছমা, ছোনোয়ারা, রাবেয়া, রমজানা, দিন খায়াজ, রাইজু, নুর চাদেকা, মোশারফা, রফিকা, নুর ফাতেমা, রোকিয়া বেগম, তসলিমা, ইয়াসমিন, তাসলিমা, মো.হাফসা, আরকান বিবি, চোমুদা খাতুন, সুমাইরা, মো. জমির, আবুল ফোয়েজ, মোস্তেফা, রাসেল, ইউনুস, রায়হান। তারা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। এর মধ্যে চার জন দালাল রয়েছে ও পাঁচজন জন শিশু রয়েছে।
উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গা সালমান জানান, দালালের মাধ্যমে তারা মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল। তবে প্রকৃত দালালের নাম তারা কেউ বলতে পারে নি। তারা অনেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নাম ও জানেনি। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তর মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার বিএন আমিরুল হক জানান, ‘সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রা ব্যর্থ হয়ে টেকনাফ সৈকতে দালালসহ ৩০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তবে সাগর পথে মালয়েশিয়া উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে বঙ্গোপসাগরে ডাকাতদের কবলে পরে ট্রলারটি আটকে রেখে দেয় তারা। এসময় তাদের মালামাল লুট করে ইঞ্জিন নষ্ট করে দেয়। তার কারণে তারা ভেসে কূলে ভিড়লে তাদের আটক করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ( ওসি) হাফিজুর রহমান, ‘অবৈধ সাগরে পথে মালয়েশিয়াগামী পাঁচজন শিশুসহ ৩০ জন রোহিঙ্গা আটক করেছে। তারা কোন মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করছিল কিনা সেটি তদন্ত করবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।’ এ ব্যাপারে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ উদ্দিন জানান, আমার এলাকার সাগরের উপকূলে ভেসে আসা ট্রলারসহ ৩০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তারা ধরা পরেছে। কিন্তু আমার জানামতে ওরা মালয়েশিয়াগামী যাত্রী নন। ওদের ভাবসাব দেখে মনে হয় ওরা মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করেছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অনুরোধ করতেছি যেন এই বিষয়ে তদন্ত করেন। প্রসঙ্গত, দুই মাস সাগরে ভেসে গত বছরের ১৫ এপ্রিল রাতে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও মিয়ানমারে প্রবেশে ব্যর্থ হলে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নে জাহাজপুরা ঘাট থেকে ৪০০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছিল বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা।