কক্সবাজার পৌরসভার বর্তমান-সাবেকসহ তিন কাউন্সিলর এবং এক পৌর কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জাল-জলিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নাগরিক সনদসহ বিভিন্ন নথিপত্র প্রদানের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (২৮ মার্চ) সকালে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের কক্সবাজারের বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. মাহাবুবুল আলম।
গ্রেপ্তাররা হলেন— কক্সবাজার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মিজানুর রহমান, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলার জাবেদ মো. কায়সার নোবেল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলার রফিকুল ইসলাম এবং কক্সবাজার পৌরসভার কর্মচারী দিদারুল ইসলাম ওরফে মুবিন।
দুদকের সংশ্লিষ্টরা জানান, রোহিঙ্গা নাগরিককে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশের নাগরিক সাজিয়ে পাসপোর্ট গ্রহণ করার জন্য সহায়তার অভিযোগে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক-বর্তমান তিন কাউন্সিলর এবং একজন পৌর কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে দুদকের একটি দল। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে তারা রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্মসনদ ও বিভিন্ন ধরণের প্রত্যায়নপত্র প্রদান করেছে। এছাড়া, পৌর কর্মচারী দিদারুল ইসলামের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতার নানা অভিযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে দুদকের একটি অনুসন্ধান দল দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিল। পরবর্তীতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। পরে রোববার সকালে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।