‘নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার তুল্লা জামে মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধদের চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি নেই। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সার্বিক খোঁজখবর রাখছেন’। বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব জানান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক চিকিৎসক জুলফিকার লেলিন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মসজিদে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে এতে দগ্ধদের অধিকাংশেরই ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন সব সাপোর্টই এই হাসপাতালের রয়েছে। প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী তাদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন।
তিনি আরও বলেন, ওষুধ থেকে শুরু করে সব কিছুই সরকারিভাবে ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চিকিৎসা কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীর কোনো ঘাটতি রয়েছে কিনা এটি দেখার জন্যই আজ এসেছি। তবে এ রকম কোনো ঘাটতি দেখতে পাইনি।
জুলফিকার লেলিন বলেন, হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসকরা সব কিছুরই ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। রোগীর স্বজনদের আবেগের জায়গায় হয়তো কিছুটা সমস্যা রয়েছে। স্বজনরা তাদের রোগীকে দেখতে পাচ্ছে না, আইসিইউতে ঢুকতে পারছেন না। উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সব তথ্য নিচ্ছেন। আরও যা যা প্রয়োজন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় আব্দুস সাত্তার নামে সর্বশেষ একজনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ জন বাড়ি ফিরেছে। এখনও ৭ জন ভর্তি রয়েছেন। সবার আইসিইউতে চিকিৎসা চলছে। আমরা রাষ্ট্রের নির্দেশে তাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।