স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রেই অন্য ক্যাডারের তুলনায় বঞ্চনার শিকার হন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ক্যাডার বৃহত্তম ক্যাডার। তবে স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রেই অন্য ক্যাডারের তুলনায় বঞ্চনার শিকার হন। আর এ থেকে উদ্ধারের জন্য স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে।
বুধবার প্ল্যানিং, মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ অপারেশন প্ল্যানের আয়োজনে এ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নবনিযুক্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার উদ্যোগে পরিচালক ও লাইন ডাইরেক্টরবৃন্দের জন্য অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ বছর হওয়ার মূল কৃতিত্ব স্বাস্থ্য ক্যাডারের, এই কৃতিত্ব স্বাস্থ্য ক্যাডারকে দাবি করতে হবে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার থাকাকালীন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আরো আন্তরিকতার সাথে চাকরিবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
সংবিধানে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের উল্লেখ করে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে সরকার এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য ক্যাডারকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। নৈতিকতা ও মানবিকতার প্রতি দৃষ্টীপাত করে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে উদ্ধৃত করেন-‘একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানব জাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসাবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শুদ্ধাচার বিষয়ে আলোকপাত করে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, সাংবিধানিকভাবে সকল কর্মকর্তাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। জনগণের প্রতি দায়িত্বপালনে আমাদের অত্যন্ত মানবিক হতে হবে।
যুগ্মসচিব জনাব মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী কর্মশালার মূল অংশে সচিবালয় বিধিমালা ২০১৪ এর ভিত্তিতে কার্য পরিচালনার বিষয়ে গুরুত্ব দেন। এছাড়াও তিনি ই-নথির প্রতি লক্ষ্য রাখার অনুরোধ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মহাপরিচালক মহোদয় কোভিড সময়ে আন্ত্রিকভাবে দায়িত্বপালনের জন্য স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও এসডিজি এর লক্ষ্য অর্জনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকবৃন্দ ও লাইন ডাইরেক্টরদের আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রশাসন অধিশাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব জনাব মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।