অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ দম্পতি নিজেদেরকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।
বুধবার ঢাকা মহানগর এক নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচার কে.এম. ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে তারা এ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
এদিন আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়ে শোনান। পরে আদালত আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মামলার যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। সাক্ষ্য শুরু হয় ৩১ আগস্ট। এরও আগে ২৩ অক্টোবর এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
গত ২৯ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই মো. আরিফুজ্জামান পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর হজরত শাহজালাল (রহ.)আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুই নম্বর বহির্গমন টার্মিনালের ছয় নম্বর স্টাফ গেটের সামনে থেকে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে মতি সুমনকে আটক করে তাদের দেহ তল্লাশী করা হয়। তল্লাশী করে পাপিয়ার কাছ থেকে একাধিক পাসপোর্ট, নগদ অর্থ, জাল নোট; পাপিয়ার স্বামী মতি সুমনের কাছ থেকে একাধিক পাসপোর্ট, নগদ অর্থ ও বিদেশি অর্থ; সহযোগী আসামি সাব্বির খন্দকারের কাছ থেকে একাধিক পাসপোর্ট, নগদ অর্থ, জাল নোট; শেখ তাইবা নূরের কাছ থেকে একটি পাসপোর্ট, নগদ অর্থ ও দুটি ডেবিট কার্ড পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও মফিজুর রহমানের দেয়া তথ্যানুসারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রাজধানীর ইন্দিরা রোডের বাসায় ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে অস্ত্র, বিদেশি মদ, নগদ অর্থ ও ভারতীয় রুপি উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় শেরে বাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি করে দুটি ও বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অবৈধ পাঁচ কোটি টাকার খোঁজ পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনে আরেকটি মামলা করে। এসব মামলায় পাপিয়া দম্পতি একাধিক দফায় রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।
এই দম্পতির বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরুণীদের ঢাকায় এনে দেহব্যবসায় জড়ানোর বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।