শেরপুরে ভিজিডির চাল আত্মসাত ও অনিয়মের অভিযোগে ঝিনাইগাতী উপজেলার ৩ নং নলকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব আলী ফর্সা, ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার খায়রুল এনাম চাঁন এবং ৭-৮-৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার রহিমা বেগমকে একইসাথে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ১৮ মাস ধরে ১২৪ জন ভিজিডি কার্ডধারীর চাল না দিয়ে তিনজন যোগসাজসে আত্মসাত করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগ বরখাস্তের আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সোমবার দুপুরে ওই প্রজ্ঞাপনের কপি ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছায়।
বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা এবং মেম্বার খায়রুল এনাম চাঁন ঝিনইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বলে জানা যায়।
শেরপুর জেলা স্থানীয় সরকার উপপরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম ওই তিনজনের বরখাস্তের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে গত ৩১ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. ইফতেখার আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইগাতীর ৩ নং নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা এবং দুই মেম্বার খায়রুল এনাম চাঁন ও রহিমা বেগম যোগসাজসে ভিজিডির ১২৪টি কার্ডের বিপরীতে উত্তোলিত চাল দীর্ঘ ১৮ মাস যাবত তারা আত্মসাত করেছেন। প্রকৃত কার্ডধারীদের মধ্যে ভিজিডির কার্ড বিতরণ না করে টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের ভিজিডি কার্ড প্রদান এবং অনৈতিকভাবে জিআর চাল বিতরণের কপিকে ভিজিডি কার্ড প্রদানের রিসিভ কপি বলে ব্যবহারের অপচেষ্টা করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত অভিযোগ জেলা প্রশাসনের তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ওই তিনজনকে নিজ নিজ পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।
মুঠোফোনে বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বরখাস্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করবেন বলে জানান।