নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্যাস লাইনের লিকেজ খুঁজতে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে মসজিদের উত্তর পাশের পাইপে দুটি লিকেজ পাওয়া গেছে।
সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মসজিদের সামনে, উত্তর ও পূর্বপাশের চারটি স্থানে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। দুপুর ২টায় খোঁড়াখুঁড়ির একপর্যায়ে মসজিদের উত্তর পাশে মাটির তিন স্তরের নিচে চার ফুট গভীরে তিন ইঞ্চি ব্যাসের পাইপে দুটি লিকেজ দেখতে পান।
তবে এ লিকেজের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা তিতাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এটি পানির পাইপও হতে পারে। খোঁড়াখুঁড়ি শেষ হোক; তারপর বিস্তারিত বলা যাবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মফিজুল ইসলাম বলেন, লিকেজ সন্ধান এবং মসজিদের নিচে কোনো পুরনো পাইপলাইন আছে কি-না খতিয়ে দেখতে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে মসজিদের উত্তর পাশে বেইজমেন্টের একটু ওপরে পাইপলাইনে দুইটি ছিদ্র পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার গ্যাস সরবরাহ চালু করে সেই ছিদ্র দুইটি পরীক্ষা করে দেখা হবে।
এর আগে গত রোববার সকালে তিতাসের শ্রমিকেরা ঘটনাস্থলে মাটি খোঁড়ার জন্য আসলে তাদেরকে সেখান থেকে ফিরিয়ে নেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সকালে পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামের মসজিদের সামনে ৪০ থেকে ৫০ শ্রমিক মাটি খোঁড়ার জন্য কাজ শুরু করেন। মসজিদের পূর্ব দিকে, পূর্ব দিকের সামনের সড়ক ও উত্তর দিকের দুইটি স্থানে আরসিসি কেটে তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন শনাক্তের চেষ্টা চালান তারা। মাটি খনন করার সময় মসজিদের উত্তর দিকে আবাসিক সংযোগের পাইপলাইনে দুইটি ছিদ্র দেখতে পান তারা।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে শুক্রবার এশার নামাজের সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় আহত ৪২ জনের মধ্যে ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।